স্কাইভিউ পার্ক সিটি
শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭
+৮৮০২-৪১০৩২৩৫৩
২৪/৭ গ্রাহক সেবা
admin@islami-sharia.org
আমাদের কাছে বার্তা পাঠান
শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭
২৪/৭ গ্রাহক সেবা
আমাদের কাছে বার্তা পাঠান
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মাওলানা সালমান হুসাইন (গোপালগঞ্জ)
ইসলামী শরীয়তের কিছু ইবাদাত আছে ঐচ্ছিক করলে সাওয়াব আছে না করলে গোনাহ নেয়।এসকল ক্ষেত্রে একজন মুমিনের জন্য কর্তব্য হল উক্ত ইবাদত গুলো সম্পন্ন করে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করা। কিছু ইবাদত রয়েছে যেগুলো কোন ঐছিক ইবাদত নয় বরং আবশ্যকীয় বিধান যা পালন না করার কোন সুযোগ বা অবকাশ নেই। যেমন নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, (ফরজ অংশ). কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু মানুষের আচারন বিধি খেয়াল করলে দেখা যায় যেন তারা উভয় প্রকারের ইবাদতকে সমান মনে করে বা সবকিছুই ঐছিক মনে করে।তার দরুন ফরজ ইবাদতের ও নিজের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় এবং একদিন ভুলে যায় যে সে তার মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে ত্রুটি করছি। এমনকি এই অনুভুতি ও থাকে না। তাই সর্বপ্রথম একজন সচেতন মুসলমানের জন্য করনীয় হলো তখন কোন ইবাদাত বা বিধান সামনে আসে প্রথমেই নির্ণয় করে নেওয়া মে এটা কোন ধরনের ইবাদাত। যদি এমন প্রকার হয় যে আবশ্যকীয় বিধান তাহলে নিজেকে প্রথম থেকেই এভাবে প্রস্তুত কর নেওয়া যেন ইবাদতে কোন প্রকার ত্রুটি না হয়। কোন ভাবেই ইবাদত যেন ছুটে না যায়। আর যদি ঐচ্ছিক অংশ হয় তাহলে তা পালনে যত্নবান হওয়া উচিত।
হজ্জ ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভ বা রকোনের অন্যতম রোকন। বান্দার উপর ফরয বা আবশ্যকীয় বিধান। (ঐচ্ছিক নয়) তাই তার উপর তা ফরজ হবে। তার জন্য অবশ্যকীয় হলো নিজেই তা আদায় করা। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেনঃ
و لله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا
আর যারা এই ঘরে (বাইতুল্লাহে) যাওয়ার সমর্থ রাখে তাদের জন্য অবশ্যকীয় হলো বা ফরজ হলো এ ঘরের হজ আদায় করা।
(সূরা আল ইমরান আয়াত নং ৯৭)
তাই নিজেই হজ আদায় করে যাওয়া কর্তব্য।একান্ত কোন কারনে আদায় না করতে পারলে যেমন অসুস্থতার কারনে হজ্জ আদায় করাতে সক্ষম না হন তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে আদায় করানো। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই একজনকে উক্ত হজ আদায়ের ওসিয়ত করে যেতে হবে। কোন মূল্যে-ই উক্ত ইবাদত ফরয হওয়ার পর তা না করে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদীসে হজ্জ আদায় না করার ভয়াবহতা বর্ণনা করে বলেছেনঃ
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلا عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي كِتَابِهِوَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلا قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার ঘর পর্যন্ত পৌছার মত সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হাজ্জ না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহ তা’আলার) কোন ভাবনা নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা তার কিতাবে বলেনঃ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে ঐ ঘরের হাজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য”।
(সূরাঃ আল-ইমরান – ৯৭)। জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৮১২ মিশকাত (২৫২১), তা’লীকুর রাগীব (২/১৩৪)
নোট;
উক্ত হাদিস টিকে আল্লামা শাওকানী রহমাতুল্লাহি হাসান বলেছেন।
১) العبادة المالية
অর্থাৎ এই প্রকারের ইবাদতগুলো সম্পদের সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ সম্পদ গরীব দুঃখীকে দান করার মাধ্যমে উক্ত এবাদত সম্পন্ন করা যায়। এ সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে যেহেতু মূল উদ্দেশ্য হলো সম্পদ গরিবের কাছে পৌঁছানো তাই নিজে আদায় করুক বা অন্য কেউ তার পক্ষ থেকে আদায় করে দেন তাহলে মূল উদ্দেশ্য অর্জন হওয়ার দরুন উক্ত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে। এ প্রকারের iবাদত হল যাকাত এবং বিভিন্ন প্রকারের কাফফারার সম্পদ আদায় করা।
২) العبادة البدنية
অর্থাৎ সকল ইবাদতগুলো শারীরিক শক্তি ও মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত। যেহেতু এ সকল ইবাদত গুলো শারীরিক শক্তি ও মেহনত এর মাধ্যমে আদায় করতে হয় তাই এসকল ক্ষেত্রে নিয়াবাত বা স্থলাভিষিক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কেননা একজনের শারীরিক শক্তি ও মেহনত অন্যজনের মাধ্যমে অর্জিত হওয়ার কোন সম্ভবত নেই।
৩) المدكبة منهما
এ প্রক্রিয়ার ইবাদতগুলতেো উপরোক্ত উভয়প্রকারের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। একদিকে যেমনিভাবে এ সকল ইবাদত গুলো সম্পন্ন করার জন্য শারীরিক শক্তি ব্যয় করার প্রয়োজন পড়ে তেমনিভাবে এসকল ইবাদতগুলো করতে সম্পদ ব্যয় হয়। যেমন হজ্জ এর মাঝে কিছু ইবাদত রয়েছে যেগুলো নিজ শক্তিও মেহনতের মাধ্যমে আদায় করতে হয় এবং কিছু ইবাদত এমন রয়েছে যেখানে সম্পদ ব্যয় করতে হয়। এ সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী এবং ফুকাহায়ে কেরামের মত অনুযায়ী নিয়াবাত বা স্থলাভিষিক্ততা করা যবে। নিম্নে আমরা হাদিসের মধ্যে যে সকল ক্ষেত্রে অন্যের মাধ্যমে উক্ত বিধানটি আদায় করা যায় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করছি
এবং উক্ত হজের মাধ্যমে নিজের ফরয হজ আদায় হয়ে যাবে । তবে এখেত্রে হজ আদায়কারী নিয়ত করার সময় তার বদলী হজ করছেন তার পক্ষ থেকে নিয়ত করবেন। একটি হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً مِنْ خَثْعَمَ سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ جَمْعٍ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَرِيضَةُ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ، أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لَا يَسْتَمْسِكُ عَلَى الرَّحْلِ، أَفَأَحُجُّ عَنْهُ؟ قَالَ:نَعَمْ
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ খাছআম গোত্রের একজন মহিলা মুযদালিফায় (১০ যিলহজ্জ) সকালে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জিজ্ঞাসা করলোঃ সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার পিতার অতি বৃদ্ধাবস্থায় তাঁর উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি বাহনের উপর স্থির থাকতে পারেন না, এমতাবস্থায় আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩৫)
، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَبِيهَا، مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ؟ قَالَ: «حُجِّي عَنْ أَبِيكِ
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেনঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে তাঁর পিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করলো যে, তিনি হজ্জ না করে ইনতিকাল করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় কর।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩৪)
অপর এক হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ سَلَمَةَ الْهُذَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَرَتِ امْرَأَةٌ سِنَانَ بْنَ سَلَمَةَ الْجُهَنِيَّ أَنْ يَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ أُمَّهَا مَاتَتْ وَلَمْ تَحُجَّ، أَفَيُجْزِئُ عَنْ أُمِّهَا أَنْ تَحُجَّ عَنْهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ، لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّهَا دَيْنٌ فَقَضَتْهُ عَنْهَا، أَلَمْ يَكُنْ يُجْزِئُ عَنْهَا فَلْتَحُجَّ عَنْ أُمِّهَا
মূসা ইবন সালামা হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, সিনান ইবন সালামা জুহানী (রাঃ)-এর স্ত্রী তাকে বললেন, যেন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে জিজ্ঞাসা করেন যে, তার মা হজ্জ না করেই ইনতিকাল করেছেন। তার মায়ের পক্ষ থেকে সে হজ্জ করলে তা যথেষ্ট হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, যদি তার মায়ের কোন দেনা থাকতো আর তার পক্ষ হতে সে আদায় করতো, তা হলে কি তার মায়ের পক্ষ থেকে তা আদায় হতো না? অতএব সে যেন তার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করে।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩৩)
অপর এক হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ، فَمَاتَتْ، فَأَتَى أَخُوهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: «أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أُخْتِكَ دَيْنٌ أَكُنْتَ قَاضِيَهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَاقْضُوا اللَّهَ، فَهُوَ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একজন মহিলা হজ্জ মান্নত করেছিল। সে মৃত্যুবরণ করলো (হজ্জ করতে পারলো না)। এরপর তার ভাই রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট এসে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো। তিনি বললেনঃ তুমি কি মনে কর, যদি তোমার বোনের দেনা থাকতো তুমি কি তা আদায় করতে? সে বললঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে, আল্লাহ্র হকও আদায় কর; কেননা তা আদায় করার অধিক উপযোগী।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩২)
১) নফল হজের বদলীঃ
এক্ষেত্রে সুস্থ অসুস্থ সকলেই অন্য মানুষ দিয়ে বদলী নফল হজ করাতে পারেন ।তাতে কোন সমস্যা নেই।
২) ফরজ হজের বদলীঃ
অন্য কাউকে দিয়ে ফরয হজের বদলী করাতে হলে কিছু শর্তসাপেক্ষে তা করানো যায়।
শর্তগুলো হলোঃ
কোন পুরুষের বদলী হজ্জ কোন মহিলাকে দিয়ে করানোকে ফুকাহায়ে কেরাম মাকরুহ বলেছেন।
(আননুতাফু ফিল ফতোয়া-১৩৯)
কেননা কিছু হজ্জের বিধানের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় মহিলার আমল কম। কেননা রমল,ও সফা মারওয়াহ মাঝে দৌড়ানো ও উচ্চস্বরে তালবিয়ার বিধান মহিলাদের জন্য প্রযোয্য নয়।
(রদ্দুল মুহতার: ৪/২৫)
বদলী হজের জন্য উত্তম হলো যে ব্যক্তি নিজের হজ আদায় করছেন এবং হজের যাবতীয় বিধি বিধান ও মাসয়ালা সম্পর্কে অবগত এমন কোন (আলেম) ব্যক্তিকে দিয়ে বদলী হজ আদায় করা। যদি কোন সন্তান যদি মৃত পিতা মাতার ওসিয়ত ব্যতীত তার ফরয হজের বদলী করে দেয় বাঅন্যকাউকে দিয়ে করানোর ব্যবস্থা করে তাহলে আশা করা যায় তা আদায় হয়ে যাবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/১৯)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে উক্ত বিষয়টি বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।
নামঃ মুহাম্মদ সালমান হুসাইন।
ইফতাঃ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ।
উলুমুল হাদিসঃ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ, মাদ্রাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর।
তাকমীলঃ ২০১৫ শিক্ষাবর্ষ, মাদ্রাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর।
হিফজঃ ২০০৭ শিক্ষাবর্ষ, জামিয়া আরাবিয়া হাজী ইউনুস কওমী মাদ্রাসা।
সিনিয়র শিক্ষকঃ হাজিপাড়া কাশীপুর নারায়ণগঞ্জ
কপিরাইট © ২০২২ ইসলামী শরীয়াহ্ অর্গানাইজেশন. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত. ব্যবহারবিধি ও স্বত্বাধিকার আইন.